হাড়িভাঙ্গা আমের চারা

(0 reviews)
In stock

Sold by:
Inhouse product

Price:
৳500.00 /Pcs
Discount Price:
৳399.00 /Pcs

Quantity:

Total Price:
Share:

রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম

(উচ্চতাঃ প্রতিটি চারার গড় উচ্চাতা ২-৩ ফিট) 


হাড়িভাঙ্গা আমের ইতিহাস  

এটি একটি হাড়িভাঙ্গা জাতের আম গাছের চারা। এই জাতটি বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলের বিখ্যাত আম। আমরা জানি বাংলাদেশের মাটি অনেক উর্বর। এখানে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। ফলগুলো যেমন পুষ্টিকর তেমন সুস্বাদু। বাংলাদেশের একেক এলাকা একেক ফলের জন্য বিখ্যাত। কিছু কিছু ফল বিদেশেও রপ্তানি হয়। আমরা সবাই হাড়িভাঙ্গা আমের নাম শুনেছি এবং খেয়েছি। এই আম অনেক মজাদার। 


নফল উদ্দিন পাইকার নামের একজন ব্যক্তি এই আমের উদ্ভাবক। তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১নং খোরাগাছ ইউনিয়নের তেকানি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আমের ব্যবসা করতেন। আমরা জানি রংপুরের বিভিন্ন স্থানে জমিদার ছিলেন আগে। এরকম একজন জমিদার রাজা তাজ বাহাদুর সিং। তিনি অনেক প্রজাবৎসল, শৌখিন এবং উদারমনা ছিলেন। তাঁর জমিদারি ছিল বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নে। তাঁর রাজবাড়িতে অনেক বাগান ছিল। সেখানে বিভিন্ন ফল গাছও ছিল। কিন্তু ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশে যে বন্যা হয়, তাতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই বন্যায় ও পরবর্তীতে নদী ভাঙ্গনে জমিদারের বাগান যমুনেশ্বরী নদীতে চলে যায়। নফল উদ্দিন এই জমিদারের বাগান থেকে আম নিয়ে বিক্রি করতেন। তিনি আরও জায়গা থেকে আম নিয়ে পদাগঞ্জ ও অন্যান্য হাটে বিক্রি করতেন।


এই জমিদার বাড়ির বাগানে যে বিভিন্ন রকম আম পাওয়া যেত, এর মধ্যে একটি আম অনেক সুস্বাদু ও মিষ্টি ছিল। তিনি ওই গাছের একটি কলম বা চারা নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং নিজ জমিতে রোপণ করেন। উত্তরাঞ্চল হল বরেন্দ্র ভূমি। তাই শুকনো মৌসুমে পানি যেন গাছের গোড়ায় দিতে পারেন এজন্য হাড়ি বসান। ফিল্টার পদ্ধতিতে সেচ দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই হাড়িটি কেউ একজন ভেঙ্গে ফেলেন। এরপর গাছটি বড় হয় এবং ফল দেয়। এই ফল তিনি প্রতিবেশী, আত্মীয়দের খাওয়ান। এত মজার আম খেয়ে সবাই এর নাম জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন এটি সেই গাছের আম, যে গাছের হাড়ি ভাঙ্গা হয়েছিল। তাঁর মুখ থেকে এভাবে আমটির নাম সবাই হাড়িভাঙ্গা দেয়। এখন এই আমটি "হাড়িভাঙ্গা আম" নামেই ব্যাপক পরিচিত। 

 

হাড়িভাঙ্গা আমের বৈশিষ্ট্য

বাংলাদেশে যত আম পাওয়া যায়, হাড়িভাঙ্গা হল নতুন ধরনের আম। এই আমটি স্বাদে ও গন্ধে অন্যরকম। এই গাছের বৈশিষ্ট্য অন্যরকম। এর ডগা পুষ্ট। এই গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে যদি ডালে জোর কলম লাগানো হয়। অল্প দিনেই গাছের ডালপালা বৃদ্ধি পায়। চারা রোপণ করার পরের বছর গাছে মুকুল দেখা দেয়। কিন্তু অনেকেই প্রথম বছর মুকুল ভেঙ্গে দেয়। কারন এর ফলে গাছের ডগার সংখ্যা বাড়ে। এছাড়া বলিষ্ঠ হয়। এই গাছ সাধারনত উপরে বাড়েনা। কিন্তু চারপাশ দিয়ে অনেক বৃদ্ধি হয়। ফলে গাছের উচ্চতা কম থাকে। এর সুবিধা হল, ঝড়ে গাছ উল্টিয়ে পড়ার সুযোগ কম থাকে। আবার আমও কম ঝরে পরে। 


হাড়িভাঙ্গা আম দেখতে উপরে মোটা। আর নিচের দিকে চিকন। এর শাস গোলাকার ও একটু লম্বাটে। এছাড়া দেখতেও সুঠাম দেহ ও মাংসালো আঁশ বিহীন আম এটি। ভিতরে শাস ছোট। অন্যান্য আমের থেকে এর ওজন বেশি। সাধারণত গড়ে তিনটি আমে এক কেজি হয়। অনেক সময় একটি আম ৫০০/৭০০ কেজি হতে পারে। পাকা আম অনেকদিন অটুট থাকে। সহজে পচেনা। চামড়া কুঁচকে গেলেও ভিতরে ভাল থাকে। আম খুব বেশি না পাকালেই মজা লাগে। 


রংপুরের মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জে বেশি চাষ হয় এই আম। সাধারণত মাঘ-ফাল্গুন মাসে ফুল আসে গাছে। আর আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে। এই আম কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়। 

বাংলাদেশে অনেক প্রজাতির আম আছে। সবগুলোই স্বাদে ভিন্ন। একেক এলাকা একেক আমের জন্য বিখ্যাত। তেমনি রংপুর হল এই হাড়িভাঙ্গা আমের জন্য বিখ্যাত। গাছের চারা কিনে বাণিজ্যিকভাবে এই আমের চাষ করে আগ্রহী যে কেউ লাভবান হতে পারেন। 


ঔষধি ও পুষ্টিগুন

হাড়িভাঙ্গা আম রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে মহৌষধ। কচি পাতার রস দাঁতের ব্যাথা উপশমকারী। আমের শুকনো মুকুল পাতলা পায়খানা, পুরনো আমাশয় এবং প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রণা উপশম করে। 

 

তথ্য ও সূত্রঃ অনলাইন সংগ্রহ।


চারার গড় উচ্চাতা ২-৩ ফিট।


আমের চারা রোপন পদ্ধতি

চারা রোপন করার জন্য প্রথমে জায়গা নির্ধারণ করতে হবে এরপর যে জায়গায় / ড্রামে চারা রোপন করবেন সেখানে জৈবসার মিশ্রিত মাটি দিতে হবে তবে মনে রাখবেন ৩ ভাগ করে ২ ভাগ মাটি ও ১ ভাগ জৈবসার হলেই হবে। জৈবসার ও মাটি মিশ্রন করার পর মিনিমাম ৫-৭ দিন অপেক্ষা করতে হবে। ৫-৭ দিন পর আপনার রিসিভকৃত আম গাছের চারা রোপন করতে হবে। চারা রোপন করা শেষে পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে দিতে হবে। 


বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনার রিসিভকৃত চারাগাছে পাতা না থাকার সম্ভবনা বেশি তাই চিন্তিত না হয়ে চারা রোপন করার পর ১৫-২০ দিন ভালোভাবে পরিচর্যা করুন দেখবেন আম গাছের নতুন করে পাতা বের হবে। 


ডেলিভারি  পদ্ধতি  ও চার্জ

ডেলিভারির সময় ৩ হতে 15 দিন। 


কৃষকের ঘর ডেলিভারির জন্য ডেলিভারি চার্জ বাবদ অগ্রিম টাকা কেটে নেয়না তাই গ্রাহক যখন প্রোডাক্ট রিসিভ করবে তখন প্রোডাক্ট এর ডেলিভারি চার্জ দিয়ে গ্রাহক প্রোডাক্ট রিসিভ করবে। যেহেতু প্রতন্ত অঞ্চল/গ্রামের কৃষকের থেকে সংগ্রহ করে পাঠাতে হয়  তাই হোম ডেলিভারি দেয়া সম্ভব নয় তাই গ্রাহকে নিকটস্ত এস এ পরিবহন, সুন্দরবন, জননী, করতোয়া ইত্যাদি থেকে প্রোডাক্ট রিসিভ করতে হবে তবে গ্রাহক চাইলে কুরিয়ার সার্ভিস নির্ধারণ করে দিতে পারবে অথবা আমরা প্রোডাক্ট পাঠানোর সময় গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করে নিকেটস্ত কুরিয়ার সার্ভিসে প্রোডাক্ট পাঠিয়ে দিবো। 


প্রোডাক্ট রিসিভ করার সময় ডেলিভারি চার্জ দিয়ে প্রোডাক্ট রিসিভ করতে হবে।


কুরিয়ার চার্জ নির্ভর করে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের পলিসির উপর তাই বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের চার্জ আলাদা আলাদা হতে পারে। গ্রাহকের সুবিধার্থে ২৫KG সম্ভাব্য ডেলিভারি চার্জ নিচে দেয়া হলো।


স্থান 

চার্জ

Dhaka

100-150 টাকা

Chittagong

150-200 টাকা

Rangpur city

80 Tk Home Delivery

Others Division

150-300 টাকা


ডেলিভারি সময়সীমা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অথবা কোন রাজনৈতিক ইভেন্ট-এর জন্য পরিবর্তন হতে পারে।


রিফান্ড পলিসি 

অর্ডার করার পর গ্রাহক চাইলে রিফান্ড রিকোয়েস্ট রাখতে পারবেন সেক্ষেত্রে প্রোডাক্ট ডেলিভারি প্রসেস শুরু হবার পূর্বে রিকোয়েস্ট করতে হবে।  কৃষকের ঘর ব্যাংক চার্জ কেটে বাকি টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ১-৭ কর্মদিবসের মধ্যে ট্রান্সফার করে।


There have been no reviews for this product yet.

Related products